আজ খবর (বাংলা), গুয়াহাটি, আসাম, ১৭/০৯/২০২০ : উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে করোনা মহামারীর জেরে ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বন্যার কারণেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে আসামের চা পাতার দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ, পেনশন, আণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আজ লোকসভায় এক লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে মহামারীর সময় সাহায্যের জন্য ভারত সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোভিড-১৯ জরুরি মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি বিষয়ক আর্থিক প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে পরীক্ষার সুবিধা বৃদ্ধি, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নজরদারির কাজ পরিচালনা করতে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ এবং সহায়তামূলক আর্থিক প্যাকেজ যেমন – আত্মনির্ভর প্যাকেজ, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির সাহায্য প্রদান, এমজিএনআরজিএস-এর আওতায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, মুদ্রা ঋণে সুদে ছাড়, সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়ন-এর মতো একাধিক প্রকল্প ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য।
এর পাশাপাশি উত্তর-পূর্বে বিশেষ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৩.৩২ কোটি টাকা মূল্যের ৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে । এই প্রকল্পের সাহায্যে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লকডাউনের সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে আটকে পড়া সাধারণ মানুষ এবং যুব সম্প্রদায়ের কাছে ত্রাণ সরবরাহের জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চীলয় পর্ষদ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ৩০৩.৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে আসামে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতি সহ করোনা মহামারী মোকাবিলায় ১৯১.৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
Loading...