আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত , ১৩/০৮/২০২০ : রাশিয়াই প্রথম দাবী করেছে, যে তারা কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক আবিস্কার করেছে। ভারতের জনসংখ্যা যেহেতু অনেক বেশি, তাই রাশিয়া থেকে দ্রুত প্রতিষেধক পেতে চাইছে ভারত।
দেশের কয়েকটি রাজ্য নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়া থেকে কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক আনতে চেয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্র সরকার তাতে রাজি হয় নি। এবার কেন্দ্র সরকার নিজের উদ্যোগেই বিদেশ থেকে প্রতিষেধক আমদানি করতে চাইছে। কিন্তু সেই প্রতিষেধক ভারতে কবে নাগাদ এসে পৌঁছাবে, কাদের ওপর সেই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে, ভারতের বাজারে তার কি দাম রাখা হবে, এই সব বিষয় নিয়ে এই প্রথমবার কেন্দ্র সরকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করল।
কোভিড-১৯এর জন্য টিকাকরণের জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো ১২ই আগস্ট বৈঠকে মিলিত হয়েছে। নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পাল এই বৈঠকের পৌরহিত্য করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী এই টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে এই টিকার সুবিধা পান সেই প্রক্রিয়াটির নজরদারি করা যাবে। বৈঠকে কোভিড-১৯ টিকার পরীক্ষা চালানোর জন্য কাদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। টিকাকরণের ওপর জাতীয় পরামর্শ গোষ্ঠীর স্ট্যান্ডিং টেকনিক্যাল সাব কমিটির থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। দেশে উদ্ভাবিত এবং বিদেশে তৈরি কোভিড-১৯এর টিকা কোন জনগোষ্ঠীর ওপর প্রথম প্রয়োগ করা হবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী টিকা সংগ্রহের জন্য অর্থ সম্পদের দিকটি নিয়েও আলোচনা করেছেন। টিকাকরণ কর্মসূচিতে শীতল শৃঙ্খল সহ অন্যান্য পরিকাঠামোগুলির বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। টিকার সুরক্ষা এবং তার নজরদারি সহ টিকা প্রয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং সচেতনতা গড়ে তোলা নিয়েও উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে মতবিনিময় করেছেন।
কোভিড-১৯এর টিকাকরণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করার বিষয়েও ভারত দায়বদ্ধ। দেশে এবং বিদেশে তৈরি টিকাগুলি ভারত ছাড়াও নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলি যাতে পায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটি টিকা সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলি যাতে পৃথক কোন ব্যবস্থা না নেয় সেই পরামর্শও দিয়েছে।