আজ খবর (বাংলা), লিসবন, পর্তুগাল, ২৪/০৮/২০২০ : টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে শেষ হল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল। আজ বায়ার্ন মিউনিখ ১-০ গোলে হারিয়ে দিল পিএসজিকে। মোট ৪২৫ দিন ধরে চলা এই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের চ্যাম্পিয়ান হল বায়ার্ন মিউনিখ। সুন্দর ফুটবল খেলা উপহার দিয়েছে দুই দলই।
আজকের ম্যাচে প্রথম থেকেই দুই দল প্রতিপক্ষকে টক্কর দিয়ে গিয়েছে সমানে সমানে। হাফ টাইমে গোলশূন্য থেকে যায় খেলা। হাফ টাইমে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল, কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারে নি কোনো পক্ষই। হাফ টাইমে দেখা যায়, দুই দলেরই বল পজেশন, ফ্রি কিক, কর্নার, ফাউল এবং টার্গেট টু দ্য গোলের সংখ্যা প্রায় সমান সামনে। অর্থাৎ প্রথম অর্ধে দুই দলই সমানে সমানে টক্কর দিয়ে গিয়েছে বলা যায়।
দ্বিতীয় অর্ধে খেলা শুরু হওয়ার পরেই চিত্রটা বদলাতে শুরু করে। পিএসজির নেইমারকে রীতিমত আটকে দিতে শুরু করে বায়ার্ন মিউনিখের ছেলেরা। ছোট ছোট পাসে বার বার পিএসজির পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল তুলে নিয়ে যাচ্ছিল বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলাররা। বার বার গোলমুখ খোলার মরিয়া চেষ্টা তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যার ফলে বল পজেশনের বেশিরভাগটাই ছিল বায়ার্ন মিউনিখের আয়ত্তে।
খেলার শুরুর ৫৯ মিনিটের মাথায় পিএসজির পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই উড়ন্ত বল পেয়ে কোনাকুনি নিখুঁত একটি হেডে বল পিএসজির জালে জড়িয়ে দিতে সক্ষম হন বায়ার্ন মিউনিখের কিংসলে কোমান। বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এরপরেও দ্বিতীয় গোল পাওয়ার জন্যে এতটুকু খামতি ছিল না বায়ার্ন মিউনিখের। গোল পেয়ে যেন বায়ার্নের ছেলেদের গোলের ক্ষিদে আরও বেড়ে গিয়েছিল। লেফট উইং থেকে বার বার কোমানের দিকেই বল বাড়ানো হচ্ছিল। যদিও এর কিছুক্ষণ পরেই কোমানকে তুলে নিয়েছিলেন বায়ার্ন কোচ।
দ্বিতীয় অর্ধে বারংবার চেষ্টা করেও পিএসজি আর বায়ার্নের গোলের মুখ খুলতে পারে নি। তবে এক্ষেত্রে বায়ার্নের গোলকিপার নওরাকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। আজ তিনি অনবদ্য কিছু গোল সেভ করে বায়ার্নের গোলের দরজা প্রায় একাই অবরুদ্ধ করে দাঁড়িয়েছিলেন, যার ফলে গোটা খেলায় আর গোলের মুখ দেখতে পেলেন না নেইমাররা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টান টান উত্তেজনায় শেষ হল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের খেলা। করোনা আবহে প্রায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ১-০ গোলে জিতে শেষ হাসি হাসল বায়ার্ন মিউনিখ।