আজ খবর (বাংলা), কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু, ১৮/০৮/২০২০ : ফের একবার পশু নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। হাতে তৈরি বোমা একটি গরুর মুখের মধ্যেই ফেটে গেল, মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে গরুটি।
ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে মেট্টুপালায়াম গ্রামে। এখানে চোরা শিকারীরা অরণ্যের ধারে বনশূকর শিকার করার জন্যে হাতে তৈরি বোমা ফেলে রেখে দেয়। কিন্তু বন শুকরের বদলে সেই বোমা খাবার ভেবে মুখে নিয়ে চিবাতে শুরু করে দিয়েছিল একটি গরু। মুহূর্তেই মুখের মধ্যে বোমা ফেটে যায়। মারাত্মকভাবে জখম হয় গরুটি, ওই গরুর মালিক জাফর আলী দুদিন ধরে তার গরুকে খুঁজে পাচ্ছিল না, তারপর খুঁজতে খুঁজতে জঙ্গলের ধারে এসে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার গরুটি পড়ে আছে। ঘটনাস্থল থেকে সে তার গরুকে উদ্ধার করে নিজের ফার্মে নিয়ে আসে. এবং চিকিৎসা শুরু করায়। এই ব্যাপারে জাফর আলী বন দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। বন্ দপ্তরের কর্মীরা তদন্ত শুরু করেছে।
গত ২১শে জুলাই কর্নাটক রাজ্যের মহীশূরের কাছে এইচডি কোটে নামক একটি গ্রামে ঠিক একই ভাবে আর একটি গরু জখম হয়েছিল। সেখানেও বন শুকর মারার জন্যে হাতে বানানো বোমা ফেলে রাখা হয়েছিল, যা খাবার মনে করে একটি গরু মুখে তুলে নিয়েছিল, পরক্ষেনেই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। গরুটি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিল। অনেক চেষ্টা কারেও তার মালিক নরসিংহ গৌড়া সেই গরুটিকে বাঁচাতে পারে নি।
গত ২৭শে মে তারিখে কেরালার পালাক্কারে আনারসের মধ্যে পুড়ে একটি অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীকে বোমা খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিদারুন কষ্ট পেয়ে সেই হাতিটি শেষমেশ মারা গিয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল দুনিয়া। তবু অসহায় এই পশুদের ওপর এক শ্রেণীর মানুষের নির্মম অত্যাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। তার কারন একটাই, আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের জন্যে কঠোর আইন নেই। তাই বার বার অপরাধ করেও সামান্য জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যায় এই সব বিকৃত মানসিকতার মানুষগুলো।