আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১১/০৮/২০২০ : ভারতের উত্তর দিক বরাবর বিস্তৃত হিমালয়ে রয়েছে অসংখ্য উষ্ণ প্রস্রবন। প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এবং তীর্থযাত্রী এই উষ্ণ প্রস্রবনগুলি দেখতে যান; কিন্তু এই প্রস্রবনগুলিই পরিবেশে যে নীরবে কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়িয়ে চলেছে তা কে জানতো !
ভূ-স্তরের মধ্যে থাকা কার্বন౼ আগ্নেয়গিরি, চ্যুতি এবং ভূগর্ভস্থ উত্তাপ ব্যবস্থার (থার্মাল সিস্টেম) মাধ্যমে বায়ু মন্ডলে মিশে গিয়ে পৃথিবীর কার্বন-শৃঙ্খলটিকে রক্ষা করে। হিমালয়ে প্রায় ৬০০টি ঊষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে, যাদের তাপমাত্রা এবং রাসায়নিক গঠন ভিন্ন। ভূ-স্তরে টেকটোনিক প্লেট থেকে যে গ্যাস নিসৃত হয়, সেগুলি কার্বন-শৃঙ্খলকে বজায় রাখে এবং বিশ্ব ঊষ্ণায়নের জন্য এই নিঃসরণ অনেকাংশে দায়ী। হিমালয়ের গাড়োয়াল অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অনেকগুলি ঊষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বশাসিত সংস্থা ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি’র গবেষকরা দেখেছেন, এই ঊষ্ণ প্রস্রবণগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। ভূ-গর্ভস্থ ঊষ্ণ জলে হিমালয়ের অভ্যন্তরের কার্বন যুক্ত পাথর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড মিশ্রিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর, সেগুলি সিলিকাযুক্ত পাথরের সংস্পর্শে এসে বাষ্পীভূত হওয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ু মন্ডলে মিশে যায়। গবেষকরা দেখেছেন, এক্ষেত্রে বাইকার্বনেট, ক্লোরাইড এবং সোডিয়ামও ঐ ঊষ্ণ প্রস্রবনগুলির জলে প্রচুর পরিমাণে থাকে। গবেষকরা দেখেছেন হিমালয়ে প্রতি বছর একটু একটু করে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই কার্বন নিঃসরণের পরিমাণটিও সমানুপাতিক হারে হয়।