আজ খবর (বাংলা), পানিহাটি, পশ্চিমবঙ্গ, ২৫/০৮/২০২০ : এক দিনের মধ্যেই প্রায় ৫২ হাজার বোতল ফিনাইল তৈরি করে অনন্য নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গের সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল।
আচার্য্য প্রফুল চন্দ্র রায়ের হাত ধরে পথ চলা শুরু, মাঝে কিছুদিন লোকসানের মূলক দেখে থমকে গেলেও এখন কিন্তু যথেষ্ট লাভের মুখ দেখছে বেঙ্গল কেমিক্যাল। লোকসান করতে করতে প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল বাঙালির বহু স্মৃতি বিজড়িত এই সংস্থা। সংস্থাটি অধীনে থাকায় কেন্দ্র সরকার চেয়েছিল বেঙ্গল কেমিক্যালকে তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে। কিন্তু এরপরেই অসাধ্য সাধন করে সংস্থার কর্মচারীরাই লাভের মুখ দেখিয়েছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালকে। বিক্রির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল সংস্থাটি। তারপর থেকেই লক্ষী লাভের সরনী ধরে এগিয়ে চলা আর থামেনি।
কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড (বিসিপিএল) কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিপুল চাহিদা পূরণে ফিনাইলের উৎপাদন বাড়িয়েছে। বিসিপিএল-এর পশ্চিমবঙ্গে পাটিহাটি কারখানায় এক দিনে ৫১,৯৬০ বোতল ফিনাইল উৎপাদন করে রেকর্ড গড়েছে।
এই বিপুল উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া সংস্থার পরিচালক ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিসিপিএল-এর অর্থ দপ্তরের ডিরেক্টর শ্রী পি এম চন্দ্রাইয়া বলেছেন, ১২০ বছরের এই সংস্থার এটি একটি রেকর্ড। জুলাই মাসে একদিনে ৩৮ হাজার বোতল ফিনাইল তৈরি করা হয়েছিল। একমাসে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দৈনিক ৫০ হাজার বোতল করা হয়েছে। ২৩শে আগস্ট ৫১,৯৬০ বোতল ফিনাইল উৎপাদন করা হয়েছে।
কোভিড মহামারীর আগে দৈনিক ১৫হাজার বোতল ফিনাইল তৈরি করা হত। সেই সময় মাসে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার ফিনাইল বিক্রি হত। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার থেকে ছয় কোটি টাকা। স্পষ্টতই কোভিড -১৯ এর কারণে এর চাহিদা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহৃত এই পণ্যের চাহিদা মেটাতে কোভিড মহামারীর সময়েও কর্মীরা পূজোর ছুটির আগে অক্টোবর পর্যন্ত রবিবার ও ছুটির দিন সহ রোজ কাজ করছেন। প্রতিদিন ২টি শিফটে কাজ করা হচ্ছে।
ভারতে বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড-ই প্রথম সংস্থা যারা বিভিন্ন গৃহস্থালী, শিল্প এবং ওষুধ তৈরি করে।