আজ খবর(বাংলা), উরি,বারামুলা, জম্মু ও কাশ্মীর, ২১/০৭/২০২০ : এবার জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোল এলাকার যে সব জায়গায় গ্রামগুলি রয়েছে, সেখানে সীমান্ত বরাবর ভূগর্ভস্থ কংক্রিট বাঙ্কার তৈরিতে জোর দিল কেন্দ্র সরকার।
প্রতি সপ্তাহে প্রায় নিয়ম করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে পাকিস্তান বিনা প্ররিচানায় সীমান্তের ওপার থেকে গোলা গুলি নিক্ষেপ করে। তারপর ভারতও সেই আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয়। এটাই যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের এই আক্রমনের জন্যে ইতিমধ্যেই সীমান্ত বরাবর গ্রামগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিছুদিন আগেই এভাবে একটি পরিবারের তিন সদস্যকে পাক গোলাগুলির জন্যে প্রাণ দিতে হয়েছিল। অনেক দিন ধরেই সীমান্তে বসবাসকারি গ্রামবাসীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্যে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার চেয়ে আসছিল। এবার গ্রামবাসীদের বাঁচাতে কেন্দ্র সরকার সীমান্ত বরাবর বাঙ্কার তৈরিতে উদ্যোগ নিল।.
প্রথমে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার তৈরি হচ্ছে উরি সেক্টরে। মাটির কিছুটা নিচে থাকবে এই কংক্রিটের তৈরি বাঙ্কারগুলি। যাতে মাটির ওপরে শেল আছড়ে পড়লেও সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানি না হয়। প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাটির নিচে থাকা এই বাঙ্কারগুলিতে সব রকম সুবিধা থাকবে। এমনকি আলো হাওয়ার কোনো অসুবিধাও থাকবে না। প্রত্যেক দুটি ঘরের পাশে থাকবে একটি করে শৌচালয়। এই ধরনের বাঙ্কারে বেশ কয়েকদিন থাকা যাবে।
উরি সেক্টরে সীমান্তের ধারে মোট ১৮টি বাঙ্কার নির্মাণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬টি বাঙ্কার নির্মাণের কাজ এখন চলছে। প্রত্যেক বাঙ্কার নির্মাণ করতে খরচ হবে ১০ লক্ষ টাকা করে। কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগে খুব খুশি সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছিলেন, "যখন তখন পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে গোলা গুলি চালায়, তাই আমাদের প্রাণ হাতে করে দিন যাপন করতে হয়। কখন যে ওপার থেকে শেল ছুটে আসবে, কেউ জানে না। তাই আমরা দিনরাত আতঙ্কে থাকতাম। এবার বাঙ্কার তৈরি হয়ে গেলে গোলাগুলি চললেই আমরা ওই বাঙ্কারগুলিতে আশ্রয় নিয়ে অন্তত প্রাণ বাঁচাতে পারব নিজেদের।"
Loading...