![]() |
শুভ্রজিতের বাবা মা |
আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৫/০৭/২০২০ : অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালগুলোর দোরগোড়ায় ঘুরতে থাকা চক্রবর্তী দম্পতি কিছুটা হলেও এই প্রথম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
কোরোনার উপসর্গ নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের দরজায় মাথা ঠুকেছিলেন তরুণ শুভ্রজিতের বাবা মা।একাধিক হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছিল। টালবাহানা করেছিল। শেষমেশ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন শুভ্রজিতের মা, তারপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ ভর্তি নিয়েছিল শুভ্রজিৎকে। ততক্ষণে প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে রীতিমত ছটফট করতে করতে মারা গিয়েছিল শুভ্রজিৎ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আকাশ ভেঙে পড়েছিল চক্রবর্তী দম্পতির মাথায়।
এই ঘটনার পরেই চক্রবর্তী দম্পতি শুরু করেছিলেন আর একটা লড়াই। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে বলেছিলেন, 'হয় তাঁদের ছেলের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে অথবা রাজ্য সরকারকে প্রমাণ দিতে হবে যে তাঁদের ছেলের করোনা পজিটিভ ছিল'। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে মহামান্য আদালত জানিয়ে দেয়, শুভ্রজিতের মরদেহ পোস্ট মর্টেম করা হবে এবং ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে পারবেন তার বাবা মা, (আইসিএমআর-এর গাইড লাইন মেনে)। অন্তত এইটুকুই আদায় করে নিতে পেরেছেন তাঁরা। তবে এই প্রথম দেশে কোনো করোনা রোগীর পোস্ট মর্টেম হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন এখনো শুভ্রজিতের করোনা সংক্রান্ত ডেথ সার্টিফিকেট হাজির করতে পারল না আদালতে ? উঠছে সেই প্রশ্ন।
চক্রবর্তী দম্পতির হয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন বাম নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। তিনি জানিয়েছেন, "এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল স্পষ্ট হয়েছে। চক্রবর্তী দম্পতি স্বাস্থ্য পরিষেবা পান নি, তাঁরা পেয়েছেন অবহেলা।" এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে।
Loading...