আজ খবর (বাংলা), মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ০৩/০৭/২০২০ : বলিউডে ফের নক্ষত্র পতন. চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত নৃত্যগুরু সরোজ খান. বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। আজ সকালে ৭১ বছর বয়সে সরোজ খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ মুম্বইয়ের মালাডে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। চিকিৎসায় একটু একটু করে সাড়া দিচ্ছিলেন। চিকিত্সকেরাও জানিয়েছিলেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং শীঘ্রই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে, কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হিন্দি সিনেমা ও বিনোদনের জগতে সরোজ খানের অবদান অনেক। তাঁর নির্দেশিত মাধুরী দীক্ষিতের 'দিল ধক ধক করনে লগা' এবং 'এক দো তিন' দীর্ঘদিন মুগ্ধ করে রেখেছিল আপামর সিনেপ্রেমীদেরকে। মাধুরী দীক্ষিতের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিকট বন্ধুত্ত্বের। মাধুরী তাঁকে গুরুজী বলে ডাকতেন। সরোজ খানের মৃত্যুর গভীর শোক প্রকাশ করে মাধুরী বলেছেন, "আমি আমার গুরু তথা বন্ধুকে হারালাম। গোটা বিশ্ব এক অসাধারন নৃত্যশিল্পীকে আজ হারাল। তাঁর প্রতিভাকে কুর্নিশ জানাই। সরোজ খানের জন্যেই আজ আমি এত ভাল নাচ শিখতে পেরেছি এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে পেরেছি। আমি তাঁকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।"
শুধু মাধুরী দীক্ষিতই নন, সরোজ খানের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে শাবানা আজমী, তিনি লিখেছেন, "নাচের সাথে সাথেই কিভাবে দ্রুত মুখের ভাব পরিবর্তন করতে হয়, তা শিখিয়েছিলেন সরোজ খান, আমার কেরিয়ারের প্রথম দিকে আমি তাঁর থেকে নাচ শিখতে পেরেছিলাম।তিনি এক কথায় অনবদ্য। আজ তাঁকে হারিয়ে বেশ দুঃখ পাচ্ছি।"
অভিনেত্রী উর্মিলা মার্তন্ডকর বলেছেন, "এভাবে যে গুরুজীকে হারাতে হবে ভাবিনি। তাঁর ছোঁয়ায় প্রত্যেকটি গান যেন অন্যরকম মাত্রা পেত।"
কোরিওগ্রাফার হিসেবে ১৯৭৪ সালে 'গীতা মেরা নাম' ছবিতে সরোজ খানের প্রথম আত্মপ্রকাশ। এরপর শ্রীদেবীর 'হাওয়া হাওয়াই', 'নাগিনা', 'চাঁদনী', তারপর মাধুরী দীক্ষিতের 'তামা তামা লোগে', 'দিল ধক ধক করনে লাগা', 'এক দো তিন'; ঐশ্বর্যা রাইয়ের দেবদাস ছবিতে 'মন ডোলা রে ডোলা রে' এই নাচগুলি সরোজ খানকে বলিউডে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গিয়েছিল।
Loading...