মৃত্যুর ২ সপ্তাহ পর চোখের জলে জর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল আমেরিকায় - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


মৃত্যুর ২ সপ্তাহ পর চোখের জলে জর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল আমেরিকায়

Share This
আন্তর্জাতিক

আজ খবর (বাংলা), হিউস্টন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১০/০৬/২০২০ : পুলিশ হেফাজতে থেকে মৃত্যু ঘটার দুই সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর গতকাল (স্থানীয় সময়)  শেষকৃত্য সম্পন্ন হল জর্জ ফ্লয়েডের।
জর্জ ফ্লয়েড, আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি, যিনি তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন।  ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা এমন একটি জায়গায় চলে আসেন যে জায়গাটা পাখিদের জন্যে সংরক্ষিত ছিল।কেন তিনি সেই জায়গায় কুকুর নিয়ে এসেছিলেন, তা নিয়ে এক মহিলার সাথে তাঁর বচসা হয়েছিল। মহিলা পুলিশ ডাকলে সেখানকার পুলিশরা এসে জর্জকে পিছমোড়া  করে হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় মাটিতে চেপে ধরে রাখে। জর্জ বার বার আর্তনাদ করে বলছিলেন যে, 'তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না', তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে অনুনয় বিনয়  করছিলেন। উপস্থিত সাধারণ মানুষও তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে পুলিশকে অনুরোধ করলেও পুলিশ তাঁকে ছাড়ে নি। শেষ পর্যন্ত ওই অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েডের।  
জর্জ ফ্লয়েড 

এই ঘটনার পর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শেতাঙ্গের অত্যাচার নিয়ে গর্জে ওঠেন সাধারণ মানুষ। সেই গর্জন জন্ম দেয় বর্ণবিদ্বেষী বিপ্লবের, আর সেই বিপ্লব মিনিয়াপোলিস থেকে ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার সর্বত্র। আমেরিকার ৪০ টি শহরে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, থানায় আগুন লাগানো, পাথর ছোঁড়া কিছুই বাদ যায় নি সেই আন্দোলনে। বেশ কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার কারো হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, আমেরিকায় সেনা নামানোর দরকার হয়ে পড়েছিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের নিচে বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গন্ডি পার করে বর্ণবিদ্বেষী বিপ্লব এখন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতেও। এখনও অশান্ত হয়ে রয়েছে একাধিক দেশ। 
এই অশান্তির আবহেই আজ হিউস্টনে জর্জ ফ্লয়েডকে সমাহিত করা হল মার্কিন পুলিশ বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে।একটি ঘোড়ার গাড়ি হিউস্টনের কফিনবন্দি মরদেহ সমাধিস্থলে টেনে নিয়ে এল জর্জ ফ্লয়েডের মরদেহ। সেই ঘোড়ার গাড়ির পিছনে দেখা গেল বেশ কিছু গাড়ির কনভয়। অসংখ্য মানুষ জড়ো  হয়েছিলেন সেই সমাধিক্ষেত্রের বাইরে। তাঁরা ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন জর্জের নামে। তাঁরা চিৎকার করে বলছিলেন, "জর্জ ফ্লয়েড, জর্জ ফ্লয়েড", "আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না" "আমার ঘাড়ের ওপর থেকে হাঁটু সরাও" ইত্যাদি। 
জর্জ ফ্লয়েডকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী বিপ্লব  চোখ খুলে দিয়েছে মার্কিন পুলিশি ব্যবস্থার। গোটা পুলিশ বাহিনীকে ভেঙে নতুন করে গড়ার আয়োজন চলছে আমেরিকায়। এভাবে কোনো ব্যক্তিকে পিছমোড়া করে, ঘাড়ে  হাঁটু দিয়ে চাপ দিয়ে আটক করার পুলিশি প্রক্রিয়াও তুলে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে আমেরিকার পুলিশের তরফ থেকে। ওই দিন জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করার সময় যে চার পুলিশ কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিল, তাদের চারজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যে দুইজন যারা সক্রিয়ভাবে জর্জের ওপর অত্যাচার করেছে, তাদেরকে থার্ড ডিগ্রি খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages