আজ খবর (বাংলা), বিশাখাপত্তনম, অন্ধ্র প্রদেশ, ০৭/০৫/২০২০ : আজ ভোর রাতে বিশাখাপত্তনমে কাছে ভেঙ্কটপুরম গ্রামের কাছে একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১;
ভোর রাতের ঘটনা হওয়ায় বহু মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন, তাই অনেকেই বিষাক্ত গ্যাসের কবলে পড়ে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে যান, প্রথমে কারখানা থেকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত কয়েকটি গ্রামে এই বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়লেও, পরে দেখা যায় মোট ২০টি গ্রামে এই বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব পড়েছে।
গ্রামের মানুষ রাস্তার মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। অনেকের বমি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রথমে বলা হয়েছিল শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু পরে দেখা যায় অন্তত কয়েক হাজার মানুষ এই বিষাক্ত গ্যাসের কবলে পারে অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। পুরো এলাকায় উদ্ধার ও সাহায্যের জন্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে NDRF কর্মীরা। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১১, তবে সেটা সরকারিভাবে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৩টি শিশু। এই অঞ্চলে অসংখ্য পশু পাখির মৃত্যুও হয়েছে, যাদের রাস্তার মধ্যেই ছটফট করতে করতে মারা যেতে দেখা গিয়েছে।
এল জি পলিমার নামে ওই প্লাস্টিক কারখানার দুইটি ট্যাঙ্কের একেকটিতে ৫০০০ টন করে স্টাইরিন নামক তরল পদার্থ ছিল। বেশ কিছুদিন লক ডাউন চলার জন্যে কারখানা ছিল বন্ধ। অনেকদিন ধরে ওই তরল পদার্থ পরে থাকায় রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করেছিল এবং তারপর ট্যাংকারটি ফুটো হয়ে গিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ওই কারখানার নিরাপত্তা কর্মীদেরকেও ঘটনাস্থলে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। আপাতত ওই কারখানাটিকে পুলিশ সিল করে দিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই বিষাক্ত গ্যাসের জন্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে চোখ আর গলার বা শ্বাসনালীর, তাই মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে এবং চোখে মুখে বার বার জল ছেটাতে হবে। বেশি করে জল পান করতে হবে। এই গ্যাসের প্রভাবে চামড়ায় জ্বালা ভাব দেখা দিতে পারে।
এদিকে ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে আর একটি কাগজের কারখানা থেকে গ্যাস লিক করার কারনে মোট ৩ জনের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
Loading...