শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বিষয়ক কিছু তথ্য - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বিষয়ক কিছু তথ্য

Share This
দেশের খবর

আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ০৫/০৫/২০২০ : করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত অত্যন্ত সতর্ক। বিশ্বব্যাপী মহামারি প্রতিরোধে এই সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্যে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দেশের নাগরিকরা যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন(containment)। এই মারাত্মক রোগ চলাকালীন সময়ে মানুষের ভ্রমণ করা উচিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কি মানুষকে যাতায়াত করতে উত্সাহ দেওয়া উচিত?  সারাদেশের অনেকগুলি গ্রাম নিজেরাই নিজেদের লকডাউন করেছেন। 

অনেক গ্রামে মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর যদি কেউ পৌঁছে যান,  তাঁদেরকে গ্রামের বাইরে আলাদা করে রাখা হচ্ছে। এই রোগ দেশের গ্রামগুলিতে পৌঁছে গেলে, জনগণকে যথাযথ স্বাস্থ্য-পরিষেবা প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং রাজ্য সরকারগুলির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই এই গোটা প্রক্রিয়াটিতে বাস্তবে ভারতীয় রেলের কোনও ভূমিকা নেই। যে রাজ্যগুলি আটকে পড়া মানুষদের পাঠাতে চায় এবং যারা ফিরিয়ে নিতে চায় তাদের অনুরোধে ভারতীয় রেল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে কেবল একটি পরিষেবা প্রদান করছে। বাস্তবে, লকডাউনের মধ্যে যাত্রীদের জন্য বিমান ও রেল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।

এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী বজায় রেখে অর্থাৎ প্রত্যেক ট্রেনে প্রায় ৬০% যাত্রীর সফর সুনিশ্চিত করে  খাদ্য ও পানীয় জলের  ব্যবস্থা, সুরক্ষা ইত্যাদি বজায় রাখা হচ্ছে এবং খালি ট্রেনগুলি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এমনকি সাধারণ দিনে  ভারতীয় রেল যেমন যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য প্রায় ৫০%  ভর্তুকি দেয়, তা বজায় রেখে মাত্র ১৫-২০% মুল্যের টিকিট রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট প্রেরক রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় রেল কোনও প্রবাসীর কাছে টিকিট বিক্রি করছে না বা তাদের সাথে কোনও যোগাযোগ করছে না। সেজন্যে সংশ্লিষ্ট  রাজ্য সরকারকে গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, এবং সুনিশ্চিত করতে হবে যাতে এই বিশেষ ট্রেনগুলিতে কেবল গরিব লোকেরাই ভ্রমণ করতে পারেন। এই নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, নাহলে ট্রেনগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় হতে পারে। এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা ও সুরক্ষা বজায় রাখা অসম্ভব হবে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হবে না।

এই পরিষেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হলে প্রত্যেকে নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই রেলস্টেশনে পৌঁছে যেত, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে প্রচুর সংখ্যায় মানুষ ট্রেনে প্রবেশ করত, নিজেরা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ভ্রমণ করতো, অন্যদেরকেও বাধ্য করতো। স্টেশনগুলিকে পদপিষ্ঠ হয়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা কোনও রাজ্যের পক্ষেই সম্ভব হত না। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারগুলির পক্ষে সুনিশ্চিত করা সম্ভব হতো না যে, এই ট্রেনগুলিতে কেবল প্রবাসী ও পরিযায়ী শ্রমিকরাই ভ্রমণ করছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং সমস্যায় জর্জরিত মানুষদের যাতে তাঁদের গ্রামে পৌঁছে দেওয়া যায়। সেজন্যে এই সফরে নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি।

এখনও অবধি, ভারতীয় রেল বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৩৪ টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে।এই প্রক্রিয়া করোনার ভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধকে মাথায় রেখে সুচারুভাবে পরিচালিত হয়েছে, এই বিশেষ ট্রেনগুলির সফর যেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্যে পুরোপুরি সযত্ন থেকেছে।


Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages