তবলীঘ জামাত কর্মীদের ওপর করা নজর সরকারের - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


তবলীঘ জামাত কর্মীদের ওপর করা নজর সরকারের

Share This
দেশের খবর

আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ০১/০৪/২০২০ : তেলেঙ্গানায় তবলিঘ জামাত কর্মীদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এদের বিষয়ে সমস্ত তথ্য স রাজ্যকে জানিয়েছে। এই সব তবলিঘ জামাত কর্মীদের মধ্যে কয়েকজন  বিদেশিও রয়েছেন।  
তবলিঘ জামাত কর্মীদের চিহ্নিত করে, তাদের আলাদা ভাবে রেখে এবং পৃথক নজরদারীর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে। কারণ এদের মধ্যে অনেকেরই সংক্রমিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মর্মে সব রাজ্যের মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহা নির্দেশকদের এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে। ২৮ ও ২৯ মার্চ ডিআইবি-ও সব রাজ্যের পুলিশের মহা নির্দেশকদের এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়েছে।  
ইতিমধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিনের মরকজে যে সব তবলিঘ জামাত কর্মী রয়েছেন, তাঁদের সকলের শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২৯ মার্চ ১৬২ জন তবলিঘ জামাত কর্মীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। এদের পৃথক নজরদারী ব্যবস্থা অর্থাৎ কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই নারেলা, সুলতানপুরী, বক্করওয়ালার কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র এবং এলএনজেপি, আরজিএসএস, জিটিবি, ডিডিইউ  হাসপাতাল, ও ঝাজ্জ এইমসে ১৩৩৯জনকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
সাধারণত, তবলিঘ দলের সদস্য হয়ে যে সব বিদেশীরা ভারতে আসেন, তাঁরা সকলেই পর্যটক ভিসায় এদেশে ঢোকেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জারী করা নির্দেশাবলীতে বলা আছে পর্যটক ভিসা নিয়ে যারা এদেশে আসবেন, তাঁরা ধর্মীয় কাজে যোগ দিতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশ সব বিদেশী তবলিঘ জামাত কর্মীর ভিসা পরীক্ষা করে দেখবেন। কেউ যদি ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
প্রেক্ষাপট
দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘ জামাতের সদর দপ্তর বা মরকজ রয়েছে। ধর্মীয় কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এবং বিদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এখানে জড়ো হন। কেউ কেউ তবলিঘের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দল বেঁধে যান। সারা বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
২১ মার্চ প্রায় ৮২৪ জন বিদেশী তবলিঘ জামাত কর্মী দেশের নানা প্রান্তে ধর্ম প্রচারের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এছাড়াও মরকজে প্রায় ২১৬ জন বিদেশী নাগরিক ছিলেন। সেই সময় ১৫০০ ভারতীয় তবলিঘ জামাত কর্মীও সেখানে ছিলেন। এরা ছাড়াও দেশের নানা প্রান্তে ধর্ম প্রচারের জন্য ২১০০ জন ভারতীয় তবলিঘ জামাত কর্মী সফর করছিলেন। ২৩ মার্চ প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা লকডাউন জারী হওয়ায়, দিল্লিতে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ নিজামুদ্দিন সংলঘ্ন এলাকায় তা কঠোরভাবে কার্যকর করে। এর ফলে তবলিঘের কাজকর্ম থেমে যায়।  
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages