আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ২৮/০৪/২০২০ : প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কোভিড – ১৯ মোকাবিলায় মন্ত্রকের অধীনস্থ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা এবং অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের (ওএফবি) ভূমিকা পর্যালোচনা করেছেন। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই পর্যালোচনা বৈঠকটি করেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি কোভিড – ১৯ এর মোকাবিলায়, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়ায় শ্রী রাজনাথ সিং তার প্রশংসা করেন। স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনগুলিকে এই সংস্থাগুলি বিভিন্নভাবে সাহায্য করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর, এই প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া কিভাবে শুরু করবে এবং লকডাউনের কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কিভাবে পূরণ করা যাবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, লকডাউন পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য যে পরিকল্পনা করেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সেবিষয়ে আলোচনা করেছেন। শ্রী সিং বলেন, মন্ত্রকের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি এবং বেসরকারী যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে, তারা দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ওএফবি এবং মন্ত্রকের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি পিএম কেয়ার্স তহবিলে ৭৭ কোটি টাকা দেওয়ায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, তার প্রশংসা করেন। এই অর্থ, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং কর্মীদের এক দিনের বেতন থেকে দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলে, পিএম কেয়ার্স তহবিলে আরো অর্থ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈঠক চলাকালীন, ওএফবি জানিয়েছে, তাঁদের কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মী কোভিড – ১৯ এ আক্রান্ত হন নি। এই সংস্থাটি ১০০টি ভেন্টিলেটর মেরামত, ১২,৮০০ কভারালস তৈরি, পিপিই পরীক্ষার জন্য বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবন, ৬ লক্ষ ৩৫,০০০ মাস্ক, বিভিন্ন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রদান, কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিতদের জন্য অরুনাচলপ্রদেশে ৩৪০টি বিশেষ তাবু পাঠানো এবং ১ লক্ষ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বন্টন সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ওএফবি-র ১০টি হাসপাতালে ২৮০টি আইসোলেশন বেড রাখা হয়েছে। এছাড়াও হ্যাল, কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিতদের জন্য তার ব্যাঙ্গালোরের হাসপাতালে ৯৩টি আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করেছে।
ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিডেট, মে মাসে ১২,০০০ এবং জুন মাসে ১৮,০০০ ভেন্টিলেটর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। ৩০০০ ইঞ্জিনিয়ার এগুলিকে ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
হ্যাল, ৩০০টি অ্যারোসল ক্যাবিনেট তৈরি করে, বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৫৬,০০০ মাস্ক বন্টন করেছে। এই সংস্থার কোনো কর্মীরও কোভিড – ১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই।
ভারত ডায়নামিক লিমিটেড, বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকদের সহায়তায় ভেন্টিলেটর তৈরির নক্সাটি চূড়ান্ত করেছে। মাজগাঁও ডক শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড, ৫ লক্ষ টাকার পিপিই এবং ওষুধ মুম্বাইয়ের নৌবাহিনীর কোয়ারান্টাইন সেন্টারে সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি এই সংস্থা, ৪০০০ লিটার স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি এবং ওএফবি-র যেসব ফ্যাক্টরি রেডজোন এলাকায় নেই, তারা ইতিমধ্যেই উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। লকডাউনের পর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এই সংস্থাগুলি ৩টি শিফটে কাজ করবে। এছাড়াও সপ্তাহে ৫ দিনের বদলে কর্মীরা ৬ দিন কাজ করবে। তবে, পুরো পক্রিয়াটিকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দপ্তরের সচিব শ্রী রাজ কুমার সহ মন্ত্রকের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন।
Loading...