আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ১৯/০৪/২০২০ : দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উচ্চপর্যায়ে এগুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এই রোগের বিরুদ্ধে অ্যাকশন প্লানের সুফল ২৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৭টি জেলায় দেখা যাচ্ছে। গত ২৮ দিনে পুডুচেরির মাহে জেলার পর কর্ণাটকের কোডাগু জেলায় নতুন করে সংক্রমিতের কোনো খবর নেই। গত ১৪ দিনে ১২টি রাজ্যে ২২টি জেলায় নতুন করে সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায় নি। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কালিংম্পং, অসমের করিমগঞ্জ, গোলাঘাটা, কামরূপ গ্রামীণ, নলবাড়ি ও দক্ষিণ শালমারা, ওডিশার ভদ্রক ও পুরী, বিহারের লখিসরাই, গোপালগঞ্জ ও ভাগলপুর।
কোভিড সংক্রমিতদের মধ্যে এপর্যন্ত মৃতের হার ৩.৩ শতাংশ। ০ – ৪৫ বছরের মধ্যে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১৪.৪ শতাংশ মারা যাচ্ছেন। ৪৫ – ৬০ বছরের মধ্যে যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই হার, ১০.৩ শতাংশ। ৬০ – ৭৫ বছর বয়সী সংক্রমিত লোকেদের মধ্যে ৩৩.১ শতাংশ এবং ৭৫ বছরের উর্দ্ধে সংক্রমিতদের মধ্যে ৪২.২ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছেন। তথ্য অনুযায়ী যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, সেই সব সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭৫.৩ শতাংশ। আগে থেকেই জটিল অসুখে ভুগছিলেন, এরকম সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৮৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবীণ নাগরিক এবং জটিল অসুখে ভোগা লোকেদের এই ভাইরাসের ফলে প্রাণের ঝুঁকি বেশি।
বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে আইসিএমআর-এর জাতীয় ট্রাস্কফোর্স সব রাজ্যগুলিকে একটি নীতি নির্দেশিকা জারি করেছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দেশে এখন মোট কোভিড–১৯ এ সংক্রমিতের সংখ্যা, ১৪,৩৭৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯৯২ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ১৩.৮২ শতাংশ সুস্থ হয়ে গেছেন।
সৌজন্যে : PIB
Loading...