আগামী সোমবার থেকে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোন এলাকাগুলিতে কিছু ছাড় দিতে চায় রাজ্য সরকার - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


আগামী সোমবার থেকে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোন এলাকাগুলিতে কিছু ছাড় দিতে চায় রাজ্য সরকার

Share This
 রাজ্য
ফাইল চিত্র 

আজ খবর (বাংলা ), কলকাতা, ২৯/০৪/২০২০ : যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে আগামী সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোন এলাকাগুলিতে কিছু ছাড় দিতে চায় রাজ্য সরকার। 
আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "পাড়ার মধ্যে যে সব একক দোকানগুলি আছে, যেগুলি হয়ত একক মালিক বা কর্মচারী রয়েছে, সেই দোকানগুলি খোলা যেতে পারে। স্টেশনারি দোকান, রঙের দোকান, চা বা পানের দোকান ( বসে চা খাওয়া চলবে না), ইলেক্ট্রনিক্স-এর দোকান, মোবাইল চার্জের দোকান, হার্ডওয়ার, লন্ড্রি এই সব দোকান খোলা যেতে পারে, তবে শুধুমাত্র গ্রিন বা অরেঞ্জ জোন এলাকায়,  রেড জোন এলাকায় নয়। গ্রিন বা অরেঞ্জ জোনেও খুলবে না শপিং কমপ্লেক্স। হকার্স কর্নার বা ফুটপাথের কোনো দোকান খুলবে না। গ্রিন জোনে কিছু কারখানা খোলা যেতে পারে, তবে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং কারখানার শ্রমিকদেরকে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করে সেগুলি খোলা যেতে পারে। গ্রামীণ আবাস, সড়ক যোজনার কাজ চলবে। এগুলি সব কিছুই খোলা হতে পারে আগামী সোমবার থেকে (শুধুমাত্র গ্রিন ও অরেঞ্জ জোন এলাকাগুলিতে)।"
মমতা বলেছেন গ্রিন জোন  ও অরেঞ্জ জোন  এলাকাগুলিতে কিছু কিছু লোকাল বাস চালানো হবে, তবে সেই বাস কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করে যাবে না, আর সেই বাসগুলিতে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না.।প্রতিদিন সেই  বাসগুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে নিয়ম করে,  প্রত্যেক যাত্রী ও বাসের কর্মীদের মুখে মাস্ক লাগাতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে. কলকাতায় গ্রিন ও অরেঞ্জ এলাকাগুলিতে  কিছু ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই ট্যাক্সির সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হবে, তবে ট্যাক্সিতে সামনের আসনে ১ জন ও পিছনের আসনে ২ জন যাত্রী বসতে  পারবে।""
মমতা জানিয়েছেন, "কেন্দ্র সরকার একদিকে বলছে লক ডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে, আবার অন্যদিকে বলছে কিছু কিছু দোকান খুলতে হবে। ঠিক কোন কোন দোকান তারা খুলতে বলছে, সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে, তাই কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে আমরা বিশদে  জানতে চেয়েছি, আশা  করি এর উত্তর কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে। যে সব দোকানে ভিড় হওয়ার সম্ভাব্না রয়েছে, সেগুলিকে খুলতে দেওয়া হবে না। ঠিক কোন  এলাকায় কোন কোন দোকান খুলবে, সে ব্যাপারে এলাকার পুলিশ ঠিক করবে,  সেটা আগামী পরশু দিন পুলিশ জানিয়ে দেবে। তবে রেড জোন এলাকাগুলিতে কড়াকড়ি থাকবে, এই জায়গাগুলিতে পুরো লক ডাউন মেনে চলতে হবে। গড়ি জোন এলাকা যদি অরেঞ্জ জোন বা রেড জোন হয়ে যায়, তাহলে ফের লক ডাউনের কড়াকড়ি শুরু হয়ে যাবে সেখানে।"
রাজ্যের হাসপাতালগুলো নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, "আমরা মোট ৫১টি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়েছি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার জন্যে, এগুলি বেসরকারি হাসপাতাল হলেও এখানে চিকিৎসার খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার। কেউ কেউ বলছিলেন, সরকারি হাসপাতালে বেড অপ্রতুল, তাঁদের আমি বলি, কলকাতাতেই এখনো সরকারের কাছে মোট ৭৯০টি বেড খালি রয়েছে। SHG ও ICDS-মেয়েদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা খুব ভাল করেছে।"
মমতা বলেছেন, " রাজস্থানের কোটায় রাজ্যের বেশ কিছু  ছাত্র ছাত্রী আটকে ছিল, আমরা তাদেরকে উদ্ধারের জন্যে বাস পাঠিয়েছিলাম। তারা আজ বাসে উঠবে। রাজ্যে পৌঁছাতে তাদের তিনদিন লাগবে, পথে তারা কোথায় খাওয়া দাওয়া করবে, সে সবকিছুরই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সংখ্যায় তারা রয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজারের মত।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের বেশ কিছু জুট  মিল খোলা রয়েছে, চা বাগানে ২৫%শতাংশ কর্মী কাজ করে চলেছে। বনজ দ্রব্য বিক্রি করার জন্যে চিন্তা করতে হবে না, এখন রাজ্য সরকার সেই পণ্যগুলি কিনে নিয়ে নিজেরাই বিক্রি করবে, ব্যংক, রেশন খোলা থাকবে। 'ধান দিন, চেক নিন' প্রকল্পে এখন সরাসরি ব্যাংকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বার বার সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করে বলেছেন, "প্রত্যেককেই মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে। মাস্ক আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। লক ডাউনের শর্ত  মেনে চলতেই  হবে। মে মাসের পুরোটাই সাবধানে থাকতে হবে। আবার জুলাই আগস্ট মাসেও বর্ষাকালে সচেতন থাকতে হবে। মাইল্ড বা এসিম্পটমিক করোনা আক্রন্তেরা বাড়িতে আইসোলেশানে থাকতেও পারেন। তবে বাড়ির লোককে দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে রোগীকে আইসোলেশনে রাখা যায়। পক্স বা হাম হলে যেভাবে একটা ঘরে আলাদাভাবে রোগীকে আইসোলেশানে রাখা হয় সেভাবেই এই রোগের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখবেন  করোনা কোনো অচ্ছুৎ রোগ নয়, এটা এমন একটা ছোয়াঁচে রোগ যা মানব শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে আরেকজনের মানুষের শরীরে।"
আজ সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে বিরোধী দলকেও এক হাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "যারা মানুষের বিপদের সময় ঘোলা জালে মাছ ধরতে নামে, তারাই আসলে 'সমাজের বিপদ'। আসুন না ভাষণ না দিয়ে কিছু কাজ করে দেখান, আপনারা কি প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন ? আপনারা কি ইঞ্জেকশান দিতে পারেন ? তাহলে অন্তত  রাস্তায় নেমে ঝাড়ু দিয়ে এলাকা পরিস্কার করার কাজটুকু করুন। আমি তো করতে পারি, আপনারাও করে দেখান। মানুষের বিপদের সময় মানুষের পাশে থাকতে শিখুন, রোগীদের পাশে থাকুন, স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশে থাকুন, তা না করে শুধু ভাষণ  দেবেন না। এরপর যখন ভোটের ঘণ্টা  বাজবে, তখন দেখবেন মানুষ আপনাদের উত্তর দিয়ে দিয়েছে, শুধু উত্তর নয় প্রত্তুত্তরটাও দিয়ে দেবে। আমি কথা দিচ্ছি এই সঙ্কটের সময় আমি রাজনীতি করব না, আপনারাও রাজনীতি করবেন না. যাঁরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন , প্রাপ্য হিসেবে তাঁদেরকে একটু সন্মান দিন।"

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages