একসময় 'কোমায়' চলে যাওয়া বেহালার পুনরুত্থানের গল্প শোনালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


একসময় 'কোমায়' চলে যাওয়া বেহালার পুনরুত্থানের গল্প শোনালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

Share This
 রাজ্য

আজ খবর (বাংলা),  বেহালা, কলকাতা, ১৩/০৩/২০২০ : গভীর রাত্রি থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত, পুরো সময়কালের যেমন  সুন্দর একটা  উত্থান  হয়, ঠিক তেমনি বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে অন্ধকার জগতের আঁধারে মুখ লুকিয়ে থাকা বেহালা এখন প্রকাশ্য দিবালোকের মত 'ঝকঝকে বেহালা'য় পরিণত হয়েছে। 
একটা সময় ছিল যখন  বেহালায় অন্ধকার  জগতের মাফিয়াদের রাজত্ব ছাড়া আর কিছু ছিল না, আসলে ছিল সবকিছুই, বেহালায় ইতিহাস ছিল, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি, উৎসব সবকিছুই ছিল।  কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ ঘটত না, তাই বেহালা সম্বন্ধে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। কিন্তু সেই বেহালা আর নেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বেহালা শহরতলি অঞ্চল কলকাতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেকদিন আগেই। অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখেছে ঘোমটার আড়ালে থাকা বেহালা। 
তবে সেটা একদিনে হয়নি, অনেক প্রচেষ্টা, অনেক সংগ্রাম, অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে সেই ভোলবদল । উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু উন্নত হওয়া ততটা সহজ নয়, তার জন্যে স্বপ্ন দেখতে হয়, একটু একটু করে হাজার বাধা পার করে  পৌঁছাতে হয় সেই স্বপ্নের কাছে। সেই স্বপ্নটা আজ থেকে ১৯ বছর আগে দেখেছিলেন এক সাধারণ মানুষ, সেই স্বপ্ন সাকার করতে গিয়ে অনেক সংগ্রাম করেছেন সেই ছাত্র নেতা মানুষটি, যাঁকে আজ আমরা চিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব  হিসেবে, তিনি ড: পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আজকের বেহালা আধুনিক এবং অনেক বেশি সুন্দর।  যাতায়াত ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, পার্ক, থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি জায়গার সৌন্দর্যায়ন, সবকিছুই রয়েছে আজকের বেহালায়। এই বেহালায় মানুষের ভিড় বেড়েছে, বাড়িঘরের সংখ্যা যেমন অনেক গুন্ বেড়েছে, তেমন নতুন নতুন বাস রুট ও যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটা। ট্রাম উঠে গিয়েছে, কিন্তু শুরু হতে  চলেছে মেট্রো রেল। মেট্রো রেলের নিচের জায়গাগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে খুব সুন্দর করে.। বেহালার মেট্রো সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আজ পার্থবাবু বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন  বেহালায় মেট্রো শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন যা অবস্থা, তাতে আমি আমার জীবদ্দশায় দেখতে পাব কিনা কে জানে ! তবু জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত হয়ে গেলেও খুব ভাল হয়।"


মাঝেরহাট সেতু সম্বন্ধে পার্থবাবু  বলেন,"আমরা চেষ্টা করছি, অন্তত পুজোর আগেই যাতে মাঝেরহাট সেতু খুলে দেওয়া যায়।"  পার্থবাবু আজ বলেন, বেহালা নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল, পুরোটাই যে করতে পেরেছি, তা নয়, এখনো অনেকগুলো কাজ বাকি রয়েছে, বেহালায় একটি মেয়েদের কলেজ তৈরী করার ব্যবস্থা চলছে, রাস্তাগুলিকে আরও চওড়া  করা হয়েছে, আগে রাস্তার ধারে লোহা লক্কর পরে থাকত, এখন সেসব আর নেই। সরশুনার দিকটাও সুন্দর করে সাজানো হবে, ৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ডটিকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বেহালা চৌরাস্তা থেকে বকুলতলার মধ্যেকার রাস্তাটিকেও চওড়া করা হয়েছে। এই রাস্তাকে আরও সাজিয়ে তোলা হবে।১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডটিকেও সাজানো হয়েছে। তবে বেহালায় কোনো পুকুর আমরা বুঁজিয়ে দেব না, আমরা পুকুর বুঁজিয়ে দেওয়ার  বিপক্ষে, অন্য কাউকে পুকুর বা জলাশয়  বোঁজাতেও  দেব না।"
বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালের যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে সে কথাও তিনি বলেন, "একটা সময় কি অবস্থা ছিল বিদ্যাসাগর হাসপাতালের, সেটা তো সবাই জানেন, আর আজ সেই হাসপাতাল বেহালার গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।"
বেহালা নিয়ে আরও অনেক পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন আধুনিক বেহালার রূপকার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।আজ  তিনি জানিয়েছেন,  "বেহালার একমাত্র সরকারি পশু হাসপাতালটির দিকেও আমার নজর রয়েছে, দরকার হলে আমি নিজে সেখানে একবার যাব।"
আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেহালার একটি রেস্টুরেন্টে 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচির অন্তর্গত 'জলযোগে যোগাযোগ' শীর্ষক  একটি অনুষ্ঠানে  সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হয়ে বেহালা নিয়ে তিনি কি কি স্বপ্ন দেখেছিলেন, আর কিভাবে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলেছিলেন, তার একটুকরো ছবি তুলে ধরেন। ২০০১ সাল থেকে যে ছবি আঁকা শুরু হয়েছিল, আজ ২০২০ সালে সেই ছবি আঁকার কাজ অনেকটাই শেষের পথে, তবে বাকি রয়েছে এখনো কিছুটা, অকপটে স্বীকার করে নিলেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক ড: পার্থ চট্টোপাধ্যায় 
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages