আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, ০৭/০৩/২০২০ : রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তোৎসবে আবির দিয়ে নিজেদের গায়ে অশ্লীল শব্দ লেখা ও রবীন্দ্রনাথের গানকে বিকৃত করার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে আঙ্গুল তুললেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।
রবীন্দ্রভারতীর ঘটনায় নৈতিক দায় স্বীকার করে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন সাব্যসাচীবাবু। যদিও সেই ইস্তফা গ্রহণ করেনি শিক্ষা দপ্তর। তবে এই ঘটনা ঘটার থেকেও সাব্যসাচীবাবুকে এই ঘটনা ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বেশি ক্ষুব্ধ বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেন, "বৈদ্যুতিন বা ছাপাই মাধ্যম তবু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ধার ধারে না। তাই সেই ব্যাপারটিকেও ভেবে দেখা উচিত।" অর্থাৎ সাব্যসাচীবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে নিয়েই সওয়াল করেছেন।
আজ বেহালায় 'আমাদের গর্ব মমতা' অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "গতকাল আমি পুরুলিয়াতে ছিলাম, রবীন্দ্রভারতীর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সিঁথি থানায় এফআইআর হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ দেখছে, কারা সেদিন কোথা থেকে রবীন্দ্রভারতীতে এসে ঐসব দুস্কর্ম করেছে, সেটাও আমরা জানতে পারছি। এই ধরনের ঘটনা আমি ভাবতেও পারি না, এই ঘটনায় আমার নিন্দার কোনো ভাষা নেই।"
গতকাল মালদহেও একই রকম আর একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে, যেখানে চারটি স্কুলছাত্রী রবীন্দ্রনাথের গান গাইছে আশ্লীল শব্দ বসিয়ে। যদিও তাদের মধ্যে একটি মেয়ে পরে ফেসবুকে আর একটি পোস্ট করে গোটা ঘটনার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। তাহলেও আজ তাদের স্কুলে গার্জেন কল করা হয়েছে।
এই বিষয়টি বেশি কিছু বলতে না চাইলেও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, "ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কি করছে তা বোধ হয় তারা বুঝতে পারছে না; এই বয়সে এমন একটা হয়, আমাদের দায়িত্ব তাদের বোঝানো এবং সচেতন করে তোলা। পরপর এই ধরনের ঘটনায় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে পরিচিত আমাদের রাজ্যের মাথা হেঁট হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার রবীন্দ্রনাথে অসম্মান যেমন কিছুতেই মেনে নেবে না, তেমন কোনো কারণে এই রাজ্যের মাথা হেঁট হয়ে যাক, সেটাও মেনে নেবে না।"
Loading...