মধ্যপ্রদেশে টালমাটাল পরিস্থিতি কমলনাথ সরকারের - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


মধ্যপ্রদেশে টালমাটাল পরিস্থিতি কমলনাথ সরকারের

Share This
রাজনীতি

আজ খবর(বাংলা), ভূপাল, মধ্যপ্রদেশ, ১০/০৩/২০২০ : রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে।কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সাথে থাকা বিধায়করাও পদত্যাগ ককরতে চাওয়ায় অত্যন্ত সংকটে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। 
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সাথে কংগ্রেস নেতৃত্বের অম্ল মধুর সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। তবু সব দিক সামাল দিয়ে এগিয়ে চলছিল নড়বড়ে সেই সম্পর্ক। কিন্তু সেই সম্পর্কে ফাটল ধরল এবার, কংগ্রেসের হাত  ছেড়ে দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দলই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। আজ কমল নাথ সরকারের ২০জন বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন, এঁদের মধ্যে রয়েছেন কমলনাথ সরকারের ৬ জন মন্ত্রী। এই বিধায়করা এখন রয়েছেন ব্যাঙ্গালোরে, সেখান থেকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইস্তফাপত্র।
শোনা যাচ্ছে আরও ২২ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্র পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। এমতবস্থায় কমলনাথ সরকারের শাসনকাল যথেষ্ট টলমলে এবং অন্ধকার ভবিষ্যতের সম্মুখীন হয়েছে। ২২ জন বিধায়কের ইস্তফাপত্র কমলনাথ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গতকাল গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বাকি মন্ত্রীদের নিয়ে  একটি ক্যাবিনেট বৈঠকও  করেছেন। 
১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের সেবা করে এবার বিদায় নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন, "এটাই চলে যাওয়ার সেরা সময়।" কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতারা কিছুদিন ধরেই জ্যোতিরাদিত্যকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। মধ্যপ্রদেশের অন্যতম বিধায়ক বিশাহুলাল সাহু ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়ে আজ যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, এবং তিনি জানিয়েছেন, "আরও বেশ কিছু বিধায়ক দল ত্যাগ করতে চলেছেন  শুধুমাত্র নেতৃত্বের ওপর আস্থা না রাখতে পেরে।" 
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সাথে জরুরি বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেস বিধায়ক কান্তিলাল ভুরিয়া জানিয়েছেন,  "সরকার চালানোর জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে বিধায়ক তাঁদের রয়েছে।"  মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ চৌহানকে সরিয়ে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশে বিধায়কদের মোট আসন সংখ্যা হল ২৩০, এর মধ্যে ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর দুজন বিধায়কের মৃত্যুর ফলে সেখানে আসন সংখ্যা কমে হয় ২২৮টি। এর মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক ছিল ১১৪ জন, বিজেপির ছিল ১০৯ জন, বহুজন সমাজবাদী পার্টির ছিল ২ জন, সমাজবাদী পার্টির ছিল ১ জন এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছিল ৪টি আসন। সপা  ও বসপার  সমর্থন নিয়ে কংগ্রেসের ছিল মোট ১১৯ বিধায়কের সমর্থন। এবার কংগ্রেস থেকে ২২জন চলে যাওয়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসবে ৯৭ তে। সেক্ষেত্রে কমলনাথ সরকারকে ফের একবার এসিড টেষ্টের  সামনে পড়তে হবে বিধান সভায় নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্যে। 
এদিকে গুজরাতেও কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে বিদ্রোহের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও দল ছাড়তে পারেন অন্তত ১৩ জন বিধায়ক বলে জানতে পারা গিয়েছে। সবকিছু নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানে নিজেদের ঘর বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস, আজ তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে ডেকে পাঠালেন সোনিয়া গান্ধী।
এদিকে আজই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আজ সন্ধ্যেবেলায় ছ'টার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজ্যসভার নির্বাচনে জিতিয়ে এনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেশের পূর্ণমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে বলে জানতে পারা গিয়েছে। 
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages