ক্যান্সার চিকিৎসায় ভারতের গবেষণা ও নতুন পদ্ধতি - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


ক্যান্সার চিকিৎসায় ভারতের গবেষণা ও নতুন পদ্ধতি

Share This
দেশের খবর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে 

আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ১৪/০৩ ২০২০ : কেন্দ্রীয় ভারতীয় চিকিৎসা-বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (আইসিএমআর)-এর জাতীয় ক্যান্সার নিবন্ধীকরণ কর্মসূচির আওতায় ২০১৬ সালে ১৪,৫১,৪১৭ জনের শরীরে ক্যান্সার রোগের লক্ষণ পাওয়া গেছে। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এই সংখ্যা যথাক্রমে ১৫,১৭,৪২৬ এবং  ১৫,৮৬,৫৭১।
স্বাস্থ্য রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তবেকেন্দ্র এই ক্ষেত্রে রাজ্যকে সহায়তা করে। ক্যান্সারডায়বেটিসহৃদরোগ সংক্রান্ত অসুখগুলি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে জাতীয় কর্মসূচি (ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ ক্যান্সারডায়বেটিসকার্ডিও-ভ্যাস্কুলার ডিজিজেজ অ্যান্ড স্ট্রোককর্মসূচি সরকার রূপায়িত করছে। এর উদ্দেশ্য হলএ ধরনের অসংক্রামক অসুখ দ্রুত সনাক্ত করার জন্য জন সচেতনতা গড়ে তোলা এবং কারোর মধ্যে এই অসুখের লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। অসংক্রামক ব্যাধিগুলির মোকাবিলায় জেলাস্তরে ৬১৬টি এবং দেশের নানা প্রান্তে ৩,৮২৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে দরিদ্র এবং আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের বিনামূল্যে অথবা আর্থিক ভর্তুকি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের ২১৫টি জেলায় ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর ফলেআশাকর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এই কর্মসূচিটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় ডায়বেটিস সহ অসংক্রামক অসুখগুলি সনাক্তকরণের কাজ চলছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনাতেও করা সম্ভব। এছাড়া২০৩টি হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠানে দীনদয়াল কাউন্টার থেকে ‘অমৃত’ যোজনার আওতায় স্বল্প মূল্যের ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষদের রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি যোজনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। 
কেরলের শ্রীচিত্র তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনলজি হলুদ থেকে কার্কুমিন নামে একটি উপাদান বের করেছে। এই উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধী। তবেএটি নিয়ে আরও গবেষণা চলছে।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্র ১৯টি রাজ্যে ক্যান্সার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং ২০টি সহায়ক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। অসমের গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালঝাড়খণ্ডে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসত্রিপুরার আগরতলায় ক্যান্সার হসপিটালে এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াপশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান সরকারি মেডিকেল কলেজমুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং উত্তর ২৪ পরগনার সাগর দত্ত মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সহায়ক চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এছাড়াআণবিক শক্তি দপ্তর টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের সহযোগিতায় গত তিন বছরে দেশে পাঁচটি ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তুলেছে। এছাড়াওপ্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশিনতুন এইম্‌সগুলিতে অঙ্কলজি বিভাগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটটিকেও শক্তিশালী করা হয়েছে।
লোকসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages