৩১ তারিখে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব : মমতা - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


৩১ তারিখে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব : মমতা

Share This
রাজ্য

আজ খবর(বাংলা), কলকাতা, ২৫/০৩/২০২০ : করোনা সংক্ৰমণ আটকাতে গোটা দেশের  মত  গোটা রাজ্যে চলছে লক ডাউন, কিন্তু সেই লক ডাউনের আওতা থেকে জরুরি পরিষেবাকে ছাড়  দিতে আজ বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লকডাউন নিয়ে প্রশাসন গতকাল থেকেই একটু কড়া হয়েছে। যারা রাস্তাঘাটে অকারণে বেড়িয়ে  পড়ছেন, তাঁদেরকে পুলিশ সতর্ক করছেন,  অনেক সময় লাঠিপেটাও  করতে হচ্ছে, কিন্তু তাতে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীদের অসুবিধায় হচ্ছে।  তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সবাইকে আটকালে চলবে না।  আইসি বা ওসিকে দায়িত্ব নিতে হবে।  হোম গার্ডদের  হাতে লাঠি ধরিয়ে দিলে চলবে না।  জরুরী ভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীকে আটকালে চলবে না। সবাইকে এক ভেবে ফেললে হবে না।  যারা হোম ডেলিভারির কাজ করে, তাদেকেও আটকানো যাবে না।  অনেক বয়স্ক মানুষ হোম ডেলিভারির খাবার খান।  দরকার হলে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারীদের বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। "
জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন, অথচ অন্য্ জেলায় থাকেন তাঁদের যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এক্ষত্রে এক জেলা পাশের জেলাকে খবর দেবে, যাতে অন্য জেলা থেকে এঁদের যাতায়াতে অসুবিধা না হয়, সেক্ষত্রে বিশেষ পরিবহনের চিন্তাও করতে হবে। সবজি নিয়ে যাঁরা আসছেন তাঁদের আটকানো হবে না, কৃষক মাঠে কাজ করবেন, তবে দেখতে হবে যাতে জটলা না হয়। "
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "করোনা ভাইরাসকে ভারী করে দেখতে গিয়ে আমরা মানুষকে যেন বিচ্ছিন্ন না করে ফেলি। সোশ্যাল  ডিস্টেনসিং আমরা অবশ্যই মানব, কিন্তু তার জন্যে সোশ্যাল আইসোলেশন বোধ হয় ঠিক হবে না। চেষ্টা করতে হবে যাতে একজনের নিঃশ্বাস আর একজনের ক্ষতি না করে। কোনো ডাক্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদিন কাজ করে  ফিরলেন, আর বাড়িওলা বলে দিলেন তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, সেটা আমি শুনতে চাই না। কারন তাঁরা রোগ  ছড়ান না, তাঁরা পূসম্পূর্ণ  প্রটেকশান নিয়েই কাজ করেন। " 
মমতা বলেন, "জ্বর হলেই সামাজিক ভাবে বয়কট করলে চলবে না, স্থানীয় থানায় খবর দিন, রোগীর  চিকিৎসা হয়ে যাবে। ভবঘুরেদের জন্যে নাইট শেল্টারের ব্যবস্থা হয়েছে, তাদের খাবার দেওয়াও হবে, তবে খিচুড়ি ও তরকারি থাকবে মেনুতে। রেশনে গোটা মাসের চাল গম  একসাথে দেওয়া হবে। তবে রেশনের দোকানে গেলেও নিজেদের  দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।  আমরা চেষ্টা করছি, সোশ্যাল পেনশন যাতে দুমাসেরটা একেবারেই দিয়ে দেওয়া যায়, সেক্ষত্রে ১০০০ টাকা করে দুবারেরটা মানে ২০০০ টাকা একেবারেই পাওয়া যাবে।"
মমতা আরও বলেন, "পানীয় জলের অসুবিধা হলে পিএইচিইকে বলা আছে জল পেয়ে যাবেন।  করোনা আক্রান্তের সেবা করছেন যে সব ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা, তাঁদের থাকার মত বেশ কিছু গেস্ট হাউস, হোটেল  হয়েছে, এমনকি কিছু বিয়েবাড়ি ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। জেলাতেও সব জায়গায় একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার কাজ করছেন, তাঁদের  ব্যবস্থা করবে হাসপাতাল  কর্তৃপক্ষই।"
মমতা সাংবাদিকদের বলেন, "রাজ্য কন্ট্রোল রুম  সারাদিনে ৩ শিফটে কাজ করবে।  করোনা  মোকাবিলায় যদি কোনো কর্পোরেট, পাবলিক বা প্রাইভেট সেক্টর মেটিরিয়াল দিয়ে সাহায্য করতে চায়, তাহলে যোগাযোগ করতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঞ্জয় বনশলের সাথে, ফোন - ৯০৫১০২২০০০ আর কেউ যদি অর্থ সাহায্য করতে চান, তাহলে যে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে, সেটি হল - State Emergency Relief Fund. A/C No. - 628005501339, IFSC - ICIC0006280.

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages