আজ খবর (বাংলা), মালবাজার, পশ্চিমবঙ্গ, ১৫/০৩/২০২০ : করোনা সংক্ৰমণ আটকাতে রাজ্যের সর্বত্র লক ডাউন চললেও চা বাগান গুলির শ্রমিকদের মধ্যে করোনা নিয়ে সেভাবে হেলদোল দেখা গেল না।
উত্তর বঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে চা বাগান রয়েছে, আর সেই চা বাগানগুলিতে কাজ করেন প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক। গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনার আতঙ্ক মানব সভ্যতার ওপর কতটা কামড় বসিয়েছে, কি এই করোনা, কতটা ক্ষতি হতে পারে তাদের জীবনেও, সেই বিষয়টিই বোধ হয় স্পষ্ট হয় নি ডুয়ার্সের চা বাগানগুলির শ্রমিকদের মধ্যে। এই চা বাগান শ্রমিকরা কিন্তু এখন ছুটির মেজাজে একসাথে গল্প করছে, আড্ডা মারছে এমনকি তাসও খেলছে। এই পরিস্থিতিতে যদি একবার এই শ্রমিকদের মধ্যে কোনোভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ শুরু হয়, তাহলে নিমেষের মধ্যেই গোটা চা বাগানে এমনকি অন্যান্য চা বাগানগুলিতেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।যার ফল হতে পারে বেশ মারাত্মক।
ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে এমনিতেই লেবার লাইন বা শ্রমিক বস্তিগুলি বেশ গায়ে গায়ে লেগে থাকে। বাগানের তরফ থেকে এই শ্রমিকদের করোনা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই, তাতে যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তা হল, তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। কোনো শ্রমিক কাজে যোগ দেয়নি। এদিকে সরকার বা প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো সরকারি গাইডলাইন এখনো পর্যন্ত চা বাগান কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তাই চা বাগানগুলি এমতাবস্থায় শ্রমিকদের ঠিক কিভাবে জীবনযাপন করতে হবে তা পুরোপুরি ভাবে জানাতে পারেনি, যার ফলে একটা আবছা ধারণা তৈরী হয়েছে তাদের মধ্যে। লক ডাউন নিয়েও কোনো হেলদোল নেই তাদের।
এই অবস্থায় তারা কাজ বন্ধ রাখলেও, একত্রে একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আড্ডা মারছে, নেশা করছে, তাস খেলছে, রীতিমত পিকনিক শুরু করে দিয়েছে। চা বাগানগুলির আশেপাশে সেভাবে এখনো গড়ে ওঠেনি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র বা আইসোলেশন সেন্টার। আইসোলেশন কি এবং কেন সেখানে থাকতে হতে পারে সে সম্বন্ধে কোনো সম্যক ধারণা গড়ে ওঠেনি চা বাগানের এই শ্রমিকদের মধ্যে। একই অবস্থা ড্যুয়ার্সের প্রায় সব চা বাগানে। এই অবস্থায় গোটা ডুয়ার্স জুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
Loading...