আজ খবর, (বাংলা), নতুনদিল্লী ১১/০৩/২০২০ : হোলির পর আজ সংসদে বসেছে অধিবেশন আর এই অধিবেশনে দিল্লীর হিংসা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল সেই অধিবেশনে আজ কার্যত কপিল মিশ্রর হয়ে ব্যাট করতে নামলেন বিজেপি নেত্রী ও সাংসদ মীনাক্ষী লেখি।
উত্তর পূর্ব দিল্লীর হিংসায় কপিল মিশ্র ও অনুরাগ ঠাকুরের মত দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে , এই দুজনের উস্কানিতেই দিল্লীতে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। আজ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সংসদে সকালে বলেছিলেন, "দিল্লীর হিংসার ঘটনা দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর গভীর ক্ষতচিহ্ন তৈরী করেছে।"
বিরোধীদের সেইসব অভিযোগকে আজ নস্যাৎ করে দিয়ে মীনাক্ষী লেখি সদনে বলেন, "দিল্লীর হিংসায় কারা কারা উস্কানি দিয়েছে, গোটা দেশ তা দেখেছে। আমানাতুল্লা খান উস্কানি দিলে তার দায় কপিলকে নিতে হবে ? সারজিল ইমাম উস্কানি দিলে তার দায় অনুরাগকে নিতে হবে ? তাহির হুসেন বাড়ির ছাদ থেকে পেট্রল বোমা ছুঁড়লে তার দায় কপিলকে নিতে হবে কেন ? আমি বলি, দিল্লীতে দাঙ্গা হয়নি, দাঙ্গা করানো হয়েছিল, আর কারা সেটা করিয়েছিল সেটা গোটা দেশ জানে।"
মীনাক্ষী লেখি আজ সংসদে বরং পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, "অনুরাগ ঠাকুর মন্তব্য করেছিলেন জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে আর প্রবেশ ভার্মা মন্তব্য করেছিলেন ২৮শে জানুয়ারি কিন্তু উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে, তাহলে তার দায় এঁরা কেন নেবেন ?"
মীনাক্ষী লেখি আরও বলেন, "ওরা কথায় কথায় ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার কথা বলেন, কিন্তু আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, সেই দাঙ্গায় বেশ কিছু অভিযুক্ত এখন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন। দিল্লীর হিংসার ঘটনাকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল, কিন্তু যদি প্রকৃত সত্য সামনে আসে, তাহলে দেখা যাবে এই হিংসার ঘটনার পরিকল্পনা হয়েছিল এক মাস আগে থেকেই।"
আজ সংসদে আর কিছুক্ষণ পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বক্তব্য রাখবেন উত্তর পূর্ব দিল্লীর হিংসার ঘটনা নিয়ে।
Loading...