আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ১৭/০২/২০২০ : আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিষয়ে বিষদে আলোচনা করতে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠকে বসতে চলেছেন চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই চার রাজ্য হল বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা।
আগামী ২৮ তারিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিশেষ এই বৈঠকটি হবে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে চার রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বৈঠাকে উপস্থিত থাকবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্যে যে সীমানা রয়েছে, সেই সীমানা অঞ্চল বরাবর মাওবাদীরা এখনো যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে রয়েছে। যদিও এই রাজ্যগুলি থেকে মাওবাদীদের প্রভাব অনেকটা হলেও কমেছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে মাও প্রভাব প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছে। তবুও মাওবাদীদের একেবারে নির্মূল করার লক্ষে এবং এই চার রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে এই বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানতে পারা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিতশাহের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটি হবে দ্বিতীয় বৈঠক, এর আগে দিল্লিতে গিয়ে মমতা অমিত শাহের সাথে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।
মাওবাদীদের প্রভাব যে সমস্ত রাজ্যে সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ছত্তিশগড় অন্যতম। এই রাজ্যে প্রায়ই মাওবাদীরা আক্রমন করে নিরাপত্তা বাহিনীকে, পুলিশকে লক্ষ করে তারা গুলি ছোড়ে, বিস্ফোরণ ঘটায়। তার মধ্যেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের প্রভাব একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। গতকাল ছত্তিশগড়ের পুলিশ মাওবাদীদের পুঁতে রেখে যাওয়া একটি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই বিস্ফোরকটিকে বাত্রালি ও বাউনিমারি গ্রামের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়, ৫ কিলো ওজনের এই বিস্ফোরকটি পুলিশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি।
Loading...