আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ২৫/০২/২০২০ : সপরিবারে ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর সফরের মধ্যেই সিটিজেনস এমেন্ডমেন্ট আইনের বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী দিল্লী। গতকাল দিল্লীতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে , সেই ঘটনার সূত্রপাতেই এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী সহ মোট ৫জন।
আজ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিনভর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি সাক্ষাৎ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে, রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সম্মানে বৃক্ষরোপন করবেন; এরপর নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে বসবেন দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে। মোদির সাথে বসে তিনি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন। মার্কিন দূতাবাসের সাথেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে, ভারতের সাথে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনাও রয়েছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে। রাত্রি ১০টা নাগাদ তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা আমেরিকার উদ্দেশ্যে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আজ সারাদিন থাকবেন দিল্লীতে, কিন্তু তিনি থাকাকালীন দিল্লী জুড়ে সিটিজেনস এমেন্ডমেন্ট আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামে যে ভাবে হিংসা ছাড়িয়ে পড়ছে দিল্লী জুড়ে, তাতে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে কেন্দ্র সরকার। দিল্লীর হিংসায় এখনো পর্যন্ত মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৬০এরও বেশি। উত্তর - পূর্ব দিল্লীতে অন্তত ১০টি জায়গায় বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা রয়েছে মোট ৬টি মেট্রো স্টেশন।
আজ সকালেও অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে দিল্লী থেকে, কয়েকটি বাইক ও গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। গতকাল রাতেও দিল্লীর একটি গাড়ি বাজার ও টায়ার পট্টিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই আগুনে একেবারে পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান, সেই আগুন কাছাকাছি থাকা একটি পেট্রল পাম্পের দিকে এগোনোর আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিল দমকল বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে জখম হয়েছেন কিছু দমকল কর্মীও।
দিল্লীর যে জায়গাগুলিতে আন্দোলনের আগুন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে, সেই জায়গা গুলি থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছে প্রশাসন। এই বিষয়ে সম্ভবত আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠকে বসবেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লীর বিজেপি নেতারা বলছেন , "ট্রাম্পের ভারত সফর চলাকালীন এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন দুনিয়ার সামনে দেশের মাথা নিচু করবে। আন্দোলন করার জন্যে পরিকল্পনা করেই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে, যাতে দেশের মাথা হেঁটে হয়। কিন্তু যত যাই হোক, আমরা দিল্লীতে আর একটা শাহিনবাগ তৈরী হতে দেব না।"
Loading...