আজ খবর (বাংলা), দার্জিলিং, ০৪/০১/২০২০ : হাড় কাঁপানো ঠান্ডা রয়েছে দার্জিলিং শহরে। গতকাল বিকেল থেকেই কার্শিয়াং , সোনাদা ঘুম এবং দার্জিলিংএ প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে, আজ ভোর বেলায় এখানকার বেশ কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টির খবরও পাওয়া গিয়েছে। আজ সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ের ম্যাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসামান্য দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সকাল থেকেই সোনালী রোদ উঠেছে দার্জিলিংয়ে। ঝকঝকে আবহাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সাধারণ পর্যটকেরা।
তার মধ্যেই খবর পাওয়া গেল তুষারপাত হচ্ছে দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলে। সেই খবর পেয়ে অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে চলে যান টাইগার হিলে। সেই সময় টাইগার হিল ছিল পুরোপুরি কুয়াশায় ঢাকা। তার মধ্যেই বরফ পড়তে থাকে, গোটা এলাকার গাছের পাতাগুলিও বরফে ঢেকে যেতে থাকে। সাধারণত টাইগার হিলে পর্যটকদের ভিড় থাকে সূর্যোদয়ের সময়, কিন্তু আজ ভিড় ছিল বেলা বাড়ার সময়; টাইগার হিলে আজ পর্যটকেরা তুষারপাতকে পুরোপুরি উপভোগ করতে পেরেছেন। প্রচণ্ড ঠান্ডাও সেই আনন্দকে ফিকে করে দিতে পারেনি।
দার্জিলিংয়ে এই মুহূর্তে যে আবহাওয়া রয়েছে, এবং আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের যে আগাম সতর্কবার্তা রয়েছে, তাতে দার্জিলিং শহর তো বটেই যে কোনো মুহূর্তে বরফ পড়তে পারে ঘুম সমেত অন্যান্য জায়গাতেও। আর সেই মুহূর্তের দিকেই তাকিয়ে আছেন দার্জিলিং বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। গোটা দার্জিলিং শহর এখন ভ্রমন প্রিয় মানুষের ভিড়ে গমগম করছে, দার্জিলিংয়ের ম্যাল, রাস্তাঘাট, গ্রিনারি, সর্বত্রই রয়েছেন পর্যটকরা।
এদিকে সিকিমেও রয়েছেন প্রচুর পর্যটক, সেখানেও গত দুদিন ধরে তুষারপাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর সিকিমের লাচেন বা লাচুং অঞ্চল বরফের আস্তরণের নিচে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব সিকিমের উচ্চতর জায়গাগুলিও রয়েছে বরফের আস্তরণের নিচে।
Loading...