আজ খবর (বাংলা), নৈহাটী, ০৯/০১/২০২০ : নৈহাটিতে কিছুদিন আগেই একটি বাজি কারখানায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই পুড়ে যাওয়া বাজি কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ । বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই বাজিগুলিকে ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালাচ্ছিল পুলিশ, কিন্তু আজ বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। স্রেফ অজ্ঞতার কারণেই গঙ্গার ধারে বাজি নিষ্ক্রিয় করার নামে সেগুলি ফাটাতে গিয়ে ঘটে গেল বড়সড় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল খুব বেশি। বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্কে নৈহাটির মানুষ ভূমিকম্প ভেবে রাস্তায় নেমে আসেন। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন তাঁরা।
নৈহাটির বাজি কারখানা থেকে পুলিশ মোট ১০ গাড়ি বাজি আটক করেছিল, তার মধ্যে ৭ গাড়ি বাজি ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে, আজ ফের বাকি বাজি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্যে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছিল গঙ্গা নদীর ধারে নৈহাটির রামঘাটে। বাজিতে আগুন লাগানোর প্রায় সাথে সাথেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে যায়; বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে গঙ্গা নদীর ওপারে চুঁচুড়া শহরও কেঁপে ওঠে., এই ঘটনায় নদীর দুই পাড়েই বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, ভেঙেছে জানলার কাঁচও।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার মানুষ পুলিশকেই আক্রমণ করে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, অন্যান্য গাড়িতে ভাংচুর চালায় জনতা। এলাকা ছেড়ে পুলিশ চলেও যায়; এলাকার মানুষ বেশ উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন এই ঘটনার জন্যে।
সেই সময় বারাসাতে যাত্রা মেলার উদ্বোধন করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার খবর তাঁর কাছেও পৌঁছায়। তিনি মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করে দেন, 'এই ঘটনায় যাঁদের বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বাড়ি মেরামত করে দেওয়া হবে'। তাঁর থেকে নির্দেশ পেয়ে ওই এলাকার বিধায়ক পার্থবাবু তখনি ঘটনাস্থলে চলে যান একজন ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে, ওই ক্যামেরাম্যান প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির ছবি তুলে রাখবে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নৈহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।নৈহাটী ঘুরে তাঁর চুঁচুড়া পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
Loading...