![]() |
আর কোনদিন যাব না কাশ্মীরে |
আজ খবর, কলকাতা, ০১/১১/২০১৯ : দোকান থেকে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন একটু দূরে, ফিরে আসতে মিনিট কুড়ি দেরি হয়েছিল বশিরুল শেখের, আর সেই কুড়ি মিনিট বিলম্ব বাঁচিয়ে দিল তাঁর প্রাণ, যা হয়ত কোনোদিন ভুলতে পারবেন না তিনি। বশিরুল শেখ সহ মোট সাতজন ছিলেন কাশ্মীরের একটি অস্থায়ী আস্তানায়। বশিরুল কিছু খাবার কিনতে চলে যান একটু দূরের এক দোকানে, ফিরে এসে ডেরায় আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি, কে বা করা যেন দূর থেকে বলছিল ভাগো ভাগো।
![]() |
পালাতে গিয়ে গুলি খাওয়া জহিরুদ্দিন, এখনো ভর্তি কাশ্মীরের হাসপাতালে |
আস্তানায় সব জিনিসপত্র ছিল লন্ডভন্ড, বশিরুল বুঝতে পারল কি ঘটেছে, কেননা প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই তাঁদের কাছে একটা বার্তা কারা যেন পৌঁছে দিতে চাইছিল, যে তাঁদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে হবে, আশেপাশের দেওয়ালে কিছু পোস্টারও পড়েছিল, সেইসব নিয়ে এমনিতেই আতঙ্কে ছিলেন বশিরুলরা; তাঁর আর বুঝতে দেরি হয়নি কি ঘটে গিয়েছে। দোতলা থেকে একতলায় নামতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
![]() |
বশিরুল শেখ |
চোখ খুলে দেখতে পান পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা বাহিনী। সেনাদের সাথেই অকুস্থলে পৌঁছে তিনি দেখতে পান জঙ্গিদের গুলি খেয়ে পাঁচজন মৃত অবস্থায় পরে রয়েছেন, একটু আগেও যাঁদের সাথে একসঙ্গে বসে গল্প করছিলেন বশিরুল। শুনলেন একজন পালিয়ে বেঁচে গিয়েছেন , যদিও তিনিও গুলি খেয়েছেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে।
বশিরুলের বাড়িও মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘিতে। কাশ্মীরের ঐ আস্তানায় যাঁরা থাকতেন তাঁরা সবাই একই গ্রামের লোক; ঘরে ফিরেছেন বশিরুল, কিন্তু দুই চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তিনি, ভয়ঙ্কর আতঙ্ক তাঁকে গ্রাস করেছে। বশিরুলকে দেখতে তাঁর গ্রামের মানুষ ভিড় করেছে। বশিরুল বলেছে আর কোনোদিন কাশ্মীর যাব না, গ্রাম থেকেও আর কাউকে কাশ্মীরে পাঠাব না;
Loading...